রাশেদ একজন বেকার যুবক। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফসলের 'মৌসুম নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ বছর তিনি আষাঢ় মাসে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বিশেষ কৌশলে ঘর তৈরি করে স্ট্রবেরি চাষ করেন। তিনি ১০০ টাকা দরে স্ট্রবেরি বিক্রি করে বেশি লাভ পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন।
উদ্দীপকে উল্লেখিত রাশেদ গ্রিন হাউজ কৌশলের মাধ্যমে স্ট্রবেরি চাষ করেন। তিনি স্ট্রবেরি বিক্রি করে বেশি লাভ পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন। নিচে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাশেদের কার্যক্রম অর্থাৎ গ্রিন হাউজ কৌশলটির গুরুত্ব মূল্যায়ন করা হলো-
ফসলের মৌসুম নির্ভরতা কাটিয়ে উঠার জন্য একটি আধুনিক কৌশল হলো গ্রিন হাউজ কৌশল। ফসলের জীবতাত্ত্বিক গুণাগুণ পরিবর্তন না করেই এ কৌশলে যে কোনো ফসল উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত মাঠে বা উদ্যানে না করে গ্রিন হাউজে তা উৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ বন্ধ ঘরে কৃত্রিম উপায়ে পর্যাপ্ত আলো, উত্তাপ, বায়ুর আর্দ্রতাসহ পরিবেশগত যাবতীয় উপাদান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়।
পাশাপাশি প্রত্যেক উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় সুষম পুষ্টি সরবরাহের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়। নিখুঁত আয়োজন ও পরিচালনা নিশ্চিত করতে পারলে প্রায় যে কোনো উদ্যান ফসল ঐ কৌশলে সম্ভব।
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বলে ফসলকে রোগ বালাই থেকে রক্ষা করার খাতে ব্যয় প্রায় নেই। ফসলও হয় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত। আমাদের দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ), স্ট্রবেরি ও টমেটো উৎপাদন করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে লাভজনকভাবে এ কৌশল ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিই এদেশের মানুষের প্রধান জীবিকা। অথচ এদেশের কৃষি ব্যবস্থায় এখনো অনেক ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোয়া লাগে নি। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষকরা বেশিরভাগই দরিদ্র ও অজ্ঞ। কিন্তু গ্রিন হাউজ কৌশল ব্যবহার করে বাংলাদেশের মতো দেশে অনেক বিশেষ উদ্যান ফসল উৎপদন করা যাবে।
সুতরাং উপরের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে। ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ফসল উৎপাদনে রাশেদের কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?